
কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ও সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতারা। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ন্যাটোর আদলে যৌথ প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের প্রস্তাব দেন, আর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান অঞ্চলের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার তাগিদ দেন।
নেতারা বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করছে। সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবে ইসরায়েলের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারে হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলের হামলার পর মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই সম্মেলনের আয়োজন হয়।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘আগ্রাসী, বিশ্বাসঘাতকামূলক ও কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে বলেন, গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনাকে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাহত করছে। ওআইসির মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান। আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত ইসরায়েলকে ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নীরবতা ভাঙার তাগিদ দেন।